শিরোনাম দেখেই অনুগ্রহ করে বলবেন না, সেই আবার বাবরি মসজিদ! ওটা এবার পেছনে ফেলে সামনে এগোবার সময় কি আসেনি? আপনারা, তথা উদারবাদী বুদ্ধিজীবীরা ১৯৯২ সালের নভেম্বরেও এমনটাই বলেছিলেন যে বাবরি মসজিদ নিয়ে এখন আর বেশি চেঁচামেচি করে ফায়দা নেই। ওপ্রসঙ্গটা বাদ দিয়ে আমরা বরং  আপাতত বৃহত্তর পটভূমির দিকে চেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা, সাংবিধানিকতা এইসব নিয়ে কথা বলা শুরু করি। দেখতেই তো পাচ্ছেন, আপনি যে ভেবেছিলেন, মসজিদের ব্যাপারটা নিয়ে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অবস্থান নিলেই তা আইনত চুকেবুকে যাবে এবং রক্তের বন্যা বওয়া ঠেকিয়ে নিরাপদে ধর্মনিরপেক্ষতা, সাংবিধানিকতার ভাষ্য দেওয়া যাবে আপনার সে ভাবনা ভুল ছিল।

১৯৯২ এর ২রা ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ নিয়ে যা ঘটল ওটা শেষ ছিল না; ছিল শেষের শুরু। এক হিংস্রতার রক্তাক্ত জোয়ার পার হয়ে আজ আর আপনি নন, শেষ পর্যন্ত NCERT (National Council for Educational Research and Training) বা শিক্ষাসংক্রান্ত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সর্বভারতীয় সংস্থা ২০২৪ সালে বরাত পেয়েছে ঐ নামটিকেই চূড়ান্তভাবে কবরজাত করার। এ জমানা চললে ‘বাবরি মসজিদ’ কথাটারই অস্তিত্ব স্কুলপাঠ্য ইতিহাস বইয়ে আর থাকবে না। যখন বাবরি মসজিদের ইঁটগুলো ধুলোয় মিশে গেছে এবং অযোধ্যায় সেই চৌহদ্দির মধ্যেই বিশাল ‘ভব্য’ রামজন্মভূমি মন্দির তৈরি করে রামভক্তেরা সর্বার্থেই জিতে গেছে, সেখানে এভাবে খাতায়কলমে তার অস্তিত্ব নাকচ করার প্রয়োজন কী ছিল একবার অন্তত ভেবে দেখতে অনুরোধ করি।   

সরকারপোষিত স্কুলব্যবস্থায় সারাদেশে বিভিন্ন বোর্ড ১৯৬১ সালে স্থাপিত যে সংস্থাটির তৈরি পাঠক্রম এবং পাঠ্যপুস্তকগুলিকে মান্যতা দিয়ে থাকে, সেই এন.সি.ই.আর.টি-র   কন্টেন্টের ঘন ঘন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে আজ। আগে প্রক্রিয়াটা চোখের সামনে স্বচ্ছতার সঙ্গে হত, সারাদেশের শিক্ষাবিদরা সুযোগ পেতেন তা নিয়ে আলোচনা করার। ২০১৪ সালের পর থেকে ক্রমে বইগুলো পালটে যাবার পরেই সেখবর আপনার কাছে পৌঁছচ্ছে। যাঁরা এন সি ই আর টির মাথায় বর্তমানে বসে আছেন, তাঁরা প্রয়োজন বোধ করছেন না অদলবদলের আগে কারো সঙ্গে মতবিনিময় করার। আমরা এখানে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইটিতে ২০২৪ সালে যে পরিবর্তনগুলি করা হয়েছে তার কিছু বাছাই প্রসঙ্গ নিয়েই একথাগুলো বলছি। ‘বাবরি মসজিদ’ কথাটিকেই ইতিহাস থেকে মুছে দেবার প্রক্রিয়ায় শিলমোহর পড়েছে এই পাঠ্যপুস্তকটিতে।

কিন্তু এই পরিবর্তনের অন্য কতগুলি তাৎপর্যও রয়েছে। গায়ে কিছু ‘হিন্দু প্রতীকযুক্ত’ ‘তিন-গম্বুজযুক্ত সৌধটি’ ২০২৪এর বয়ান অনুযায়ী ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’ হয় ঠিকই, কিন্তু কিভাবে কাদের হস্তক্ষেপে তার কোনো উল্লেখ নেই। তা বাজ পড়েও হয়ে থাকতে পারে। নেই আদবানির রথযাত্রা বা অযোধ্যায় প্রশাসনিক মদতে করসেবকদের অনুপ্রবেশের কথা। বরং এই ঘটনার ব্যাখ্যা এভাবেই দেওয়া হয়েছে যে, সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশেই পারস্পরিক মতদ্বৈধ মেটানোর জন্য যেসব প্রক্রিয়া চালু আছে সেই অনুযায়ী এবং আইন মেনে সর্বসম্মতিক্রমেই তা ঘটেছে। এই পাঠ্যবস্তুটি যারা পড়বে তাদের ধরে নিতে হবে যে ‘রামভক্ত’রা বিবাদের মীমাংসায় যেরাস্তায় এগিয়েছিল সেটাই সঠিক।

অর্থাৎ এখানে শুধু তথ্যবিভ্রম ঘটানো হচ্ছে না, একটা নৈতিক অবস্থানও নেওয়া হচ্ছে; সেটাই সবচেয়ে মারাত্মক। হিন্দুত্ববাদী করসেবকেরা যে অসভ্য বর্বর উপায়ে মসজিদ ‘সরিয়েছিল’ (অর্থাৎ ধ্বংস করেছিল) নৈতিক যুক্তিতে তাকে ধিক্কার দিয়ে বর্জন না করে তাকে ভব্যতার একটি আবরণ পরিয়ে উপস্থিত করতে হয়েছে তাকে বৈধতা দেবার জন্য, যে কারণে এই অনুচ্ছেদটির ভাষাতেও স্কুলপড়ুয়ার পক্ষে উপযোগী  সরলতা ও স্পষ্টতার আদর্শটি সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। নতুন পাঠ্যবস্তু বলছে, বিবাদমীমাংসার জন্য আইনি উপায়, আপোষের আলোচনা এবং ‘জন-আন্দোলন’ এইসব বৈধ প্রক্রিয়ারই আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। হিংস্র ধ্বংসাত্মক কাজগুলিকেই এখানে ‘জন-আন্দোলনে’র অভিধা দেওয়া হয়েছে। যা ওপর থেকে উশকানি দিয়ে তৈরি তাকেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত চাহিদা বলে চালানো হচ্ছে।

 সবচেয়ে দুঃখের বিষয় এই যে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত সর্বসম্মত রায় (২০১৯) পাঠ্যপুস্তকের এই মিথ্যাচার এবং পরিকল্পিত নৈতিক অন্তর্ঘাতকে ঢাকা দিতে সাহায্য করেছে। বাবরি মসজিদের ধ্বংসপ্রক্রিয়াকে অবাঞ্ছিত বললেও, ২০২৪এর পাঠ্যপুস্তকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বানানো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও সুপ্রিম কোর্টের সে রায়ে শেষবিচারে হিন্দু আবেগকেই রামজন্মস্থানের প্রমাণ বলে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল। যারা মসজিদ- ধ্বংসের অপরাধে অপরাধী তাদের শাস্তিবিধান না করে সেই রায় মসজিদের জায়গায় মন্দিরতৈরির অনুমতি দিয়েছিল। অন্যত্র মুসলিমদের সন্তুষ্টির জন্য একটি মসজিদ-তৈরির কথাও অবশ্য তারা বলেছে।

এই রায়ের সংক্ষিপ্তসারকে পাঠ্যবস্তুর কেন্দ্রে রেখেই আজ এন.সি.ই.আর.টি ঘটনাটিকে আইন ও সংবিধানের মূলনীতিগুলির প্রয়োগের আদর্শ উদাহরণ বলে প্রচার করছে। এতো কোনো পাঠ্যবস্তুই নয়, এও একধরনের প্রচারই। কিন্তু এবারে প্রচারের উদ্দিষ্ট প্রাপক আলাদা। আনপড় ভক্তিবিহ্বল দুর্দান্ত করসেবকদের সচরাচর সমাজের যে স্তর থেকে সংগ্রহ করা হয় তার বাইরে তুলনায় ‘এলিট’ এমন একদল পাঠকের কাছে বিষয়টির অবতারণা করা হচ্ছে যারা স্কুলকলেজে পড়ে একদিন ‘ভব্য’ সমাজের অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। তাই বয়ানটিকে ভদ্রতার প্রলেপ দিতে হয়েছে।   

 তবে এই প্রচারের মধ্যেও যে স্ববিরোধ রয়েছে তা স্পষ্ট হয় রামমন্দিরের প্রধান পূজারী সত্যেন্দ্র দাস মহারাজের উল্টোকথায় যখন তিনি বলেন ঐ স্কুলপাঠ্য বইটিতে ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভিতর রামলালার ‘অলৌকিক’ আবির্ভাব এবং ১৯৯২ সালে ত্রি-গম্বুজ সৌধটির অপসারণের গৌরবময় কাহিনিও এন. সি .ই.আর.টি-র বয়ানে স্পষ্টভাবে থাকা উচিত ছিল। স্কুলপাঠ্য তৈরির প্রক্রিয়ায় আজ এই ধর্মগুরুদের প্রবল উপস্থিতি অনিবার্য, যেমন অনিবার্য সরকারের প্রতিভূ জাতীয় সংস্থার এই চূড়ান্ত ভণ্ডামি-ভরা বুলি যে তারা যা বাদ দিয়েছে তা সমাজের মধ্যে ভারসাম্য ও শান্তি বজায় রাখার কথা ভেবেই। নাকি অনর্থক কিশোরমনে আঘাত দিতে চায় না বলেই তা করা হয়েছে। আসলে তারা কথাগুলি উচ্চারণ না করেও সেই অনাচারগুলিকেই বৈধতা দিয়েছে, সত্যেন্দ্র দাস বাবাজি রাখঢাক না করেই যেগুলি নিয়ে ঢাক পেটাতে চান। ‘বাবরি মসজিদ’ কথাটি পাঠ্যের কোথাও না থাকলেও তার সমস্ত বিষাক্ত অনুষঙ্গ লাইনগুলির ফাঁকেই গোঁজা থাকছে।

এসব নিয়ে প্রতিবাদ অনেকদিন ধরেই হচ্ছে, প্রতিবাদ করছেন প্রধানত ছাত্রেরা, শিক্ষকেরা, ইতিহাসবিদ্‌রা ও গবেষকরা। কিন্তু তা অরণ্যে রোদন। এতদিন সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শাসকদল যে সবরকমের জনমত অগ্রাহ্য করেছে, আঠারোতম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই পরিস্থিতিতে কিছু রদবদল এনেছে। বিশেষত জনসাধারণ—খোদ ‘হিন্দি হৃদয়ভূমি’র জনসাধারণও— রামমন্দির নিয়ে ঢাক পিটানোর বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে। রামমন্দিরের ছাদ দিয়েই শুধু জল পড়ছে না, জাঁকজমকের ‘রামপথেও’ ফাটল ধরেছে। প্রশ্ন হল পরিস্থিতির এই পরিবর্তন আমাদের প্রতিবাদ থেকে প্রতিরোধের দিকে যেতে কতটা সাহায্য করবে? যতক্ষণে বিজেপি-আর এস এস আবার সামলে-সুমলে উঠে না দাঁড়ায় তার আগে প্রত্যাঘাতের জন্য কতটা প্রস্তুত হতে পারবে ভারতের আমজনতা?

বিজেপি কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থায় আর এস এস সর্বত্র নিজের লোক ঢোকানোর চেষ্টা নিষ্ঠাসহকারে করে গেছে। আর এস এস-এর জন্মের আগেও উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এবিষয়ে সচেষ্ট ছিল; আর এস এস যেহেতু ‘সামাজিক সংগঠন’ হিসাবে নানা নামে ও নানা রূপে সমাজে বিরাজ করে, তার পক্ষে এই অনুপ্রবেশের কিছু বিশেষ সুবিধা আছে। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভিতর রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে নেহরুর স্পষ্ট নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে যে তার স্থায়ী অধিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা গিয়েছিল, তা তো উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভিতর হিন্দুমহাসভার লোকেরা থাকাতেই। নরসিংহ রাওয়ের আমলে সাফল্যের সঙ্গে মসজিদ ভাঙ্গার কাজে শুধু উত্তরপ্রদেশের কল্যাণ সিংএর সরকারের অবদান নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের ভিতরের সর্বোচ্চ স্তরের লোকও তাতে মদৎ দিয়েছিল।

মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আর এস এস-এর বিপুল বিস্তার এখন আর কোনো গোপন কথা নয়। তাদের আক্রমণের একটি প্রধান লক্ষ্য শিক্ষাক্ষেত্র। ২০২০ সালে গৃহীত নয়া শিক্ষানীতি লাগু করা হল বিস্ময়কর দ্রুততার সঙ্গে। এন সি ই আর টি, এন টি এ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সি এস আই আর, আই সি এস এস আর এবং অন্যান্য শিক্ষা-গবেষণামূলক জাতীয় সংস্থাগুলিতে আজ স্বৈরতন্ত্রীরা আমাদের চোখের সামনেই তাদের নির্লজ্জ দখলদারি চালাচ্ছে। কাজেই এইসব সংস্থার ভিতর থেকে পাঠক্রমের রদবদল নিয়ে কোনো প্রতিবাদ হবে তার সম্ভাবনা নেই। দু-একজন শিক্ষাবিদ্‌ বরং হাল ছেড়ে দিয়ে লিখিতভাবে এন সি ই আর টি-কে জানিয়ে দিয়েছেন পরিবর্তিত বইতে তাঁদের নাম যেন আর ব্যবহার করা না হয়।

শিক্ষা যেহেতু যুগ্মতালিকায় রয়েছে এখানে রাজ্যসরকারগুলির একটি ভূমিকা থাকতে পারে। কারণ শিক্ষার অভূতপূর্ব কেন্দ্রীকরণ রাজ্যগুলির অধিকারে হস্তক্ষেপের নির্লজ্জ নিদর্শন। এন সি ই আর টি-র সাধারণ নীতিগত নির্দেশিকা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও রাজ্যসরকারগুলির অধীন বোর্ডে কেন্দ্রীয় পাঠ্যপুস্তককে হুবহু মেনে চলা আবশ্যিক নয়। কেরালা ও কর্নাটকের সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে তারা তাদের স্কুলপাঠ্য বইতে আলোচিত পরিবর্তনগুলি আনবে না। যেরাজ্যগুলিতে অ-বিজেপি সরকার আছে, সেখানে এদাবি তোলা যায়। কোথাও কোথাও হয়তো এইভাবে প্রতিবাদ করাও সম্ভব। তবে আমাদের রাজ্যে এমন চেষ্টায় বিশেষ ফায়দা নেই। নিজেদের কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরোধী বলে প্রচার করেও তো সেই নীতি লাগু করার ক্ষেত্রেই বিশেষ তৎপরতা দেখাচ্ছে রাজ্যসরকার।

প্রতিরোধ গড়ে তোলায় একটি বড়ো বাধা শিক্ষকদের একাংশ এবং অভিভাবকদের বৃহদংশের এব্যাপারে অনীহা। শিক্ষক আন্দোলনের ভূমিকাও অনেকদিন ধরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদ আমাদের শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই করলেও তা যখন লাগু হতে যাচ্ছে তখন তাকে প্রাণপণে আটকানোর সম্মিলিত উদ্যোগ তাঁদের তেমন নিতে দেখা যায়নি। প্রতিবাদ তখনই প্রতিরোধে পরিণত হতে পারে, অভিভাবকদের অন্তত একাংশের ওপর তার কিছু প্রভাব তখনই পড়তে পারে যখন শিক্ষকদের সেইধরনের সক্রিয়তা বহুগুণ বাড়বে। সেইসঙ্গে যুক্ত হবে শিক্ষক ব্যতীত অন্য বামপন্থী সাংস্কৃতিক কর্মীদের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচারের উদ্যোগ।

এন সি ই আর টি’র অনাচারগুলি উদ্ঘাটন করতে যেমন সরল ভাষায় স্কুলপড়ুয়াদের উপযোগী অনেক অনেক বিকল্প পাঠ্যবস্তু তৈরি করে শিক্ষকদের ও অভিভাবকদের মধ্যে সেগুলির বহুল প্রচার চালানো দরকার, তেমনি নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সার্বিক আন্দোলনের সঙ্গে তার সংযুক্তি ঘটানো জরুরি। সরকারপোষিত শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এখানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, গবেষক বা কলেজছাত্রদের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও পরিকল্পনা সম্ভব।

পরীক্ষার ভয়, কোচিং ক্লাসের আকর্ষণ যেখানে আজকের দিনে ভয়ংকর বিপরীত টান সৃষ্টি করছে সেখানে একাজ নিঃসন্দেহে অতি কঠিন। কিন্তু ইংরেজ আমলেও কি বাধ্য পড়ুয়া তৈরির কারখানার ভিতরেই মাস্টারমশাইরা তাদের মনে দেশপ্রেমের ফুলকি জ্বালাতেন না?। বামপন্থী শিক্ষক ও সমাজকর্মীদের কাজে আগেকার যে ঘাটতি আর এস এস-এর উত্থানের অন্যতম উপাদান, সেই ঘাটতি দ্রুত পূরণ করার দায়িত্ব তো আমাদেরই।